আমাকে কবুল করার জন্য তোমার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ : মিশা সওদাগর

Table of Content


ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। পর্দায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই চরিত্রেই দেখা গেছে তাকে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক চরিত্রে দেখা মিলেছে তার। অথচ পর্দার মিশা আর বাস্তবের মিশার মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। যতটা নেতিবাচক ও হিংস্র। বাস্তবেই ততটাই ইতিবাচক ও মানবিক। এই অভিনেতা বাস্তব জীবনে একজন তুখোড় প্রেমিক। তার প্রেমকাহিনি যেকোনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।

১০ বছর চুটিয়ে প্রেম করে করে বিয়ে করেন মিশা সওদাগর। তার স্ত্রীর নাম মিতা। দেখতে দেখতে এক ছাদের নিচে ৩০টি বছর পার করেছেন এই দম্পতি। আজকের এই দিনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিশা-মিতা। সেই হিসেবে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) তাদের বিয়ের ৩০ বছর পূর্ণ হলো।

স্ত্রী মিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিশা সওদাগর তার ফেসবুকে লেখেন, ৩০ বছর পার করার পর আমার উপলব্ধি হচ্ছে ,মানুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে তার মা। আর একজন পুরুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি হচ্ছে স্ত্রী। যে তার মানসম্মান, অর্থ প্রতিপত্তি, সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনা, সন্তান-সন্ততির আমানত হিসেবে রক্ষা করে। তোমার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা, অনেক ভালোবাসা। আমাকে আজকের দিনে কবুল করার জন্য তোমার কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। শুভহোক বিবাহবার্ষিকী।

প্রেম ও বিয়ের স্মৃতিচারণ করে সংবাদমাধ্যমে মিশা সওদাগর বলেন, প্রেমের যখন শুরু তখন আমি ম্যাট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষার্থী। আর স্ত্রী মিতা পড়তেন নবম শ্রেণিতে। আমার আম্মা ও মিতার আম্মা নিকটাত্মীয়। আমাদের বাসা এবং তাদের বাসায় যাতায়াত ছিল। সেই সূত্র ধরেই প্রেম।

এই জনপ্রিয় খল অভিনেতা বলেন, প্রথম দেখায় মিতার যে জিনিসটা পছন্দ হয়… আমরা তো ঢাকার লোক, নিজের ড্রেসআপ গেটআপের দিকে খেয়াল করতাম। পড়াশোনার দিকে খেয়াল করতাম না। কিন্তু মিতা ফাইভে বৃত্তি পাওয়া মেয়ে। তার মেধা আমাকে খুব আকৃষ্ট করে। এই জায়গা থেকে আমার ফিল আরম্ভ হয়। প্রথম একটা চিঠি দিয়ে প্রেমের শুরুটা করেছিলেন মিতা। তবে দুজনের ১০ বছরের প্রেমের গল্প মোটেও সহজ ছিল না। ছিল পারিবারিক আপত্তি।

মিশা দেখা করতে যাওয়ার মেডিকেলে পড়া হয়নি স্ত্রীর মিতার। সেই গল্প মিশা বলেছিলেন এভাবে, মিতা চট্টগ্রাম মেডিকেলে চান্স পেয়েছিল। আমি সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেই খবরে ওর আব্বা ওর চট্টগ্রামে পড়া বন্ধ করে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি করেছিল। এ ছাড়া আরও অনেক ঝামেলা গেছে আমাদের। কিন্তু, আমরা দুজন দুজনকে ছাড়িনি। একবার এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে তাকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিল, তখন আমরা বিয়ে করি।

প্রসঙ্গত,বর্তমানে মিশা-মিতা দম্পতির দুই পুত্র সন্তানের জনক। তারা আমেরিকাতে থাকেন। আর সুযোগ পেলেই মিশা সেখানে উড়াল দেন স্ত্রী-পুত্রকে সময় দিতে।

Tags :

Popular News

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit.

© 2017-25 All Rights Reserved by Media Para