২৯ বছরের প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন কাজল

Table of Content


২৯ বছরের প্রতিজ্ঞা ভেঙে সম্প্রতি ‘দ্য ট্রায়ালের’ জন্য পর্দায় চুমু খেয়েছিলেন কাজল। তাও আবার ‘লিপলক কিসিং’। ওয়েব সিরিজটি মুক্তির আগেই অ্যালি খানের সঙ্গে কাজলের সেই চুমুর দৃশ্য ভাইরাল হয়।

সম্প্রতি সেই চুমু ও কাজলের সঙ্গে ‘দ্য ট্রায়ালের’ ঘনিষ্ঠ দৃশ্য প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অ্যালি খান। যিনি কিনা একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক।

হিন্দুস্তান টাইমসের অনলাইনে বলা হয়েছে, কাজলের সঙ্গে সেই চুমুর দৃশ্যকে পুরোটাই পেশাদার বলে বর্ণনা করেছেন অ্যালি খান। তার কথায়, যখন সেই দৃশ্য শুট করা হয়েছিল তখন সেটে পেশাদার পরিবেশই ছিল। অ্যালির কথায়, ‘আমি আমার স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে বসেই সেই দৃশ্য দেখতে পেরেছি। যখন দৃশ্যটির শ্যুট হয়েছিল, তখন পুরো বিষয়টি এতটাই বাস্তব ছিল যে কেউ কোনো আপত্তি জানাননি।’

‘দ্য ট্রায়ালের’ তার সঙ্গে এই লিপলক চুমুতে কাজল তার দীর্ঘদিনের ‘নো চুম্বন’ নীতি ভেঙেছিলেন। এ কথায় অ্যালি বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল না যে ওর (কাজলের) এমন কোনো নীতি ছিল। এর আগে কাজলকে চিনতাম না। এটা আমার কাছে সত্যিই একটা খবর ছিল। আমি যখন চিত্রনাট্য পড়ছিলাম, তখনই দেখি যে সেখানে একটা চুমুর দৃশ্যও রয়েছে। এখানে আসলে একটা তিলকে তাল করা হয়েছে। সেটে আসলে এটা কোনো বড় ব্যাপারই ছিল না। যেভাবে শুট করা হয়েছে এবং উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে এটা ক্যামেরাতেও এটা কোনো বড় ব্যাপার ছিল না।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক অভিনেতা অ্যালি আরও বলেন, ‘মজার বিষয় হলো যে আমি যখন এটা আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, তখন আমরা থাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন সবে মহররমের শুরু, তাই বললাম আশুরার পর দেখা যাক। আমরা যখন দ্য ট্রায়াল দেখা শুরু করলাম, আমি ও আমার স্ত্রীর সোফায় বসে ছিলাম এবং আমার মেয়ে অন্য সোফায় ছিল। চুম্বনের দৃশ্য এল ও চলে গেল, আর ওরা আমার দিকে তাকালো এবং আমিও ওদের দিকে তাকালাম এবং আমরা দেখতে থাকলাম। এটা নিয়ে কেউই আলাদা করে ভাবেনি। ওদের কেউই তখন বিষয়টা এভাবে ভাবেনি যে এটা আমার বাবা বা আমার স্বামী। কেউ হাসেওনি। একজন দর্শক হিসেবে বিষয়টা বিশ্বাসযোগ্য ছিল, তাই এটাতে কোনো অসুবিধা হয়নি।’

কাজলের প্রসঙ্গে অ্যালি খান বলেন, ‘উনি ভীষণ পেশাদার, সেটা ওর সন্তানদের বিষয়েই হোক বা ওর ক্যারিয়ারে। সেটে কোনোও বিষয়েই আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি বা উনি কোনো অ্যাটিটিউড দেখাননি।’

শুটের বিষয়ে অ্যালি বলেন, ‘আমরা মুম্বাইয়ের এক আভিজাত হোটেলে শুটিং করছিলাম। পরিচালক জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আমরা একটা বন্ধ সেট চাই কিনা, যার মানে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতেই শুটিং হবে কিনা? আমি পরিচালক ও কাজল দুজনকেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আমরা কীভাবে চুম্বনের দৃশ্যে যাচ্ছি… কিন্তু এক সেকেন্ডের জন্যও কোনো লজ্জা, বিব্রত বা দ্বিধা ছিল না। এটা পেশাদার শুটিং ছিল। যখন আমাদের কাজ শেষ হয়েছিল তার আগে আমরা তিন বা চারবার মহড়াও দিয়েছি। আমরা মনিটরের কাছে গিয়ে একে অপরকে জিজ্ঞাসা করেছি আমরা খুশি কিনা তারপর আবারো করেছি। কাজল বললেন, ‘থ্যাং ইউ মাই ডার্লিং’।

Tags :

Popular News

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit.

© 2017-25 All Rights Reserved by Media Para