শোবিজে যখন সংসার ভাঙার হিড়িক, তখন কণ্ঠশিল্পী এস আই টুটুল ও অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ সুখী দম্পতি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা দু’জন। তবে এখন আর সেই উদাহরণ তারা নেই। বছরখানেক আগে এই দম্পতির ২৩ বছরের সংসারে ভাঙন ধরে।
কী কারণে ভেঙেছিল তাদের সংসার, বিষয়টি নিয়ে সেসময় স্পষ্ট করে কিছু না বললেও সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে টুটুলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির কারণ জানিয়েছিলেন তানিয়া। যেখানে তিনি বলেছিলেন, দীর্ঘ সময় ধরে দু’জনের মাঝে বোঝাপড়া না হওয়া থেকেই এই বিচ্ছেদ।
এমনকি তানিয়ার দাবি ছিল, তারকাখ্যাতি পাওয়ার পরে বদলে গিয়েছিলেন টুটুল। যার প্রভাব পড়েছিল সংসারে। এই সবকিছু মিলিয়েই একসময়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দু’জন।
অভিনেত্রী জানান, বিচ্ছেদের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে ব্লক করে দেন টুটুল। কথা বলাও বন্ধ হয়ে যায় দু’জনের মাঝে। শুধুমাত্র আমেরিকা থেকে সন্তানদের সঙ্গে ফোনকলে যোগাযোগ হয় তাদের বাবার।
বিচ্ছেদ নিয়ে তানিয়ার বক্তব্যের পরেই এবার মুখ খুলেছেন টুটুল। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বিচ্ছেদটা তানিয়াই চেয়েছিল। তিনি নন।
টুটুল বলেন, আমি কখনোই বিবাহবিচ্ছেদ চাইনি। বরং তানিয়াই বিচ্ছেদ চেয়েছিল বারবার। সে আমাকে বলেছিল, স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে চায়। সংসারের কোনো বাধ্যবাধকতা সে চায় না। কোথায় যাচ্ছে, কখন ফিরবে এসবও যেন জানতে না চাই। এরকম অনেক আচারন আমি মেনে নিতে পারিনি। যার কারণে বিচ্ছেদে একসময় রাজি হয়ে যাই।
তারকাখ্যাতি নিয়ে অহংকার দেখাতেন, তানিয়ার এমন মন্তব্যর জবাবে টুটুল বলেছেন, আমি যদি এমন কিছু করে থাকি, তা অজান্তে ভুল করেছি। তবে আমার কিছু কষ্ট আছে। যখন আমি বড় বড় অ্যাওয়ার্ড পেতে শুরু করলাম, সেসব অনুষ্ঠানে অনুরোধ করলেও তানিয়াকে কখনো পাশে পেতাম না। হায়রে, তানিয়া! আমার ভালোবাসাটুকু বুঝতে পারোনি।
তানিয়াকে ব্লক করা প্রসঙ্গে টুটুল বলেন, সে আমাকে এই কষ্টের জীবনে ঠেলে দিয়েছে। তাই অভিমান করেই ব্লক করেছি। যে আমাকে তার জীবন থেকেই ব্লক করে দিয়েছে, তার সঙ্গে আর যোগাযোগ থেকেই লাভ কি? এমনটা মনে হয়েছিল আমার।
প্রসঙ্গত, এদিকে শোনা গিয়েছিল, তানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আমেরিকাতে ফের বিয়ে করেছেন টুটুল। তবে এই গায়কের দাবি, একজনের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল। তবে সেটা বিয়ে অব্দি গড়ায়নি। বিয়ের বিষয়টি পুরোপুরিই গুজব, মিথ্যা।