চটেছেন জেমস

Table of Content


গানের জন্য একসময় বাড়ি ছেড়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যান্ড সুপারস্টার জেমস। নিজের বাড়ি ছেড়ে চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে উঠেছিলেন। পড়ালেখায় ফাঁকিবাজির জন্য তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন জেমসের বাবা। সেই জেমস পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের রকস্টার। এবার জেমসের কণ্ঠে শোনা গেল আক্ষেপ। সম্প্রতি কোক স্টুডিও বাংলা কনসার্ট’র কর্তৃপক্ষের ওপর বেজায় চটেছেন তিনি।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কোক স্টুডিও বাংলা কনসার্টে সারপ্রাইজ গেস্ট হিসেবে গাইবেন নগর বাউল’খ্যাত ব্যান্ড তারকা জেমস। অথচ এই বিষয়ে জেমস কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন।

এ প্রসঙ্গে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন গণমাধ্যমে বলেন, এই কনসার্টে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোক স্টুডিওর কর্তৃপক্ষের আলাপ হয়েছে ঠিকই, তবে সেটি কখনোই চূড়ান্ত ছিল না। কারণ, আমরা বলেছি সেদিন সম্ভব নয়। একই দিন (১০ নভেম্বর) আমরা বরিশালে শো কনফার্ম করেছি। সেখানেই অংশ নেব।

তিনি আরও বলেন, যদিও এরমধ্যে আমরা দেখলাম, আমাদের নাম ও ছবি দিয়ে প্রচারণা চলছে হরদম! গণমাধ্যমেও খবর হয়েছে। প্রতিটি খবরের শিরোনাম ও ছবি জেমস ভাইয়ের। এটা আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর ও বাজে অভিজ্ঞতা। এমনটা আশা করিনি কোক বাংলা আর গণমাধ্যমের কাছে।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে কোক স্টুডিও বাংলার ইভেন্ট পিআর বেঞ্চমার্কের অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন) ইমরান হোসাইন মিলন গণমাধ্যমে বলেন, আসলে সত্যি বলতে জেমস ভাইর খবরটি আমি নিজেও কদিন ধরে দেখছি সংবাদ মাধ্যমে। তবে এই সংবাদ আমরা কাউকে পাঠাইনি। এমনকি আমি যতদূর জেনেছি, কোক কর্তৃপক্ষ এমন কোনো ঘোষণাও দেয়নি কনসার্টের। ফলে এমন খবর কেন ও কীভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশ হলো, সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালের এদিনে নওগাঁয় জন্ম নেন মাহফুজ আনাম জেমস। কিন্তু তার বেড়ে ওঠা এবং সংগীত ক্যারিয়ার শুরু চট্টগ্রামে। তার বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জেমসের সংগীতচর্চা পরিবারের লোকজন পছন্দ করতো না। সংগীতের টানে ঘর ছেড়ে চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে থাকা শুরু করেন। সেখানে থেকেই তার সংগীতের মূল ক্যারিয়ার শুরু হয়। জেমস ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। ১৯৮৭ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের একক অ্যালবাম প্রকাশ করে সুপারহিট হয়ে যান জেমস। এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অব ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো প্রকাশ পায়। এরপর ‘ফিলিংস’ ভেঙে জেমস গড়ে তোলেন নতুন লাইনআপে ব্যান্ড ‘নগর বাউল’। এই ব্যান্ড ‘দুষ্টু ছেলের দল’ এবং ‘বিজলি’ অ্যালবাম দুটির মধ্যেই আটকে যায়।

২০০৪ সালে কলকাতার সংগীত পরিচালক প্রিতমের সঙ্গে গান নিয়ে কাজ করেন জেমস। ২০০৫ সালে বলিউডে গ্যাংস্টার চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া ভিগি ভিগি গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং এক মাসেরও বেশি সময় গানটি বলিউড টপচার্টের শীর্ষে ছিল। ২০০৬ সালে আবারো বলিউডের ছবিতে কণ্ঠ দেন। ২০০৭ সালে তিনি লাইফ ইন এ মেট্রো চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান দুইটি হল রিশতে এবং আলবিদা। আর তাতেই বাজিমাত।

জেমসের গাওয়া সেরা ১০ গান এরমধ্যে, বাংলাদেশ, জেল থেকে আমি বলছি, মা, দুখিনী দুঃখ করো না, লেইস ফিতা লেইস, বাবা কতো দিন, বিজলী, দুষ্টু ছেলের দল, মিরাবাঈ, পাগলা হাওয়া, গুরু ঘর বানাইলা কি দিয়া উল্লেখযোগ্য।

Tags :

Popular News

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit.

© 2017-25 All Rights Reserved by Media Para