Sunday, December 22, 2024
Homeবিনোদনআজ চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্তের মৃত্যুবার্ষিকী

আজ চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্তের মৃত্যুবার্ষিকী


আজ ১৬ নভেম্বর, বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি পরিচালক ও অভিনেতা সুভাষ দত্তের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সুভাষ দত্ত জন্মগ্রহণ করেন মামার বাড়িতে ১৯৩০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের মুন্সিপাড়া নামক স্থানে। তার পৈতৃক বাসস্থান বগুড়া জেলার চকরতি গ্রামে। বসবাস করতেন পুরান ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের নিজবাড়িতে।

তিনি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ও সুশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও চলচ্চিত্র নির্মাণের কৌশল শিখতে ভারতের বোম্বেতে গিয়ে পঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিকে একটি ছায়াছবির পাবলিসিটির স্টুডিওতে মাত্র ত্রিশ টাকা মাসিক বেতনে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে ভারত থেকে ঢাকায় ফিরে যোগ দেন প্রচার সংস্থা ‘এভারগ্রিন’-এ। এরপর তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন চলচ্চিত্রের পোস্টার আঁকার কাজের মাধ্যমে।

১৯৫৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ দেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর পোস্টার ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম ‘এ দেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে একজন দুষ্ট নায়েব (কানুলাল)-এর ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। এটি মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি। ষাটের দশকের শুরুর দিকে নির্মিত বহুল আলোচিত হারানো দিন চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেছিলেন। মুস্তাফিজ পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি লাভ করে ৪ আগস্ট, ১৯৬১ এবং এটি বাংলা ভাষার প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে এক প্রেক্ষাগৃহে পঁচিশ সপ্তাহ প্রদর্শনের রেকর্ড তৈরি করে।

এরপর তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে তিনি কৌতুকাভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেও বেশ প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।

১৯৬৪ সালের ২৩ এপ্রিল মুক্তি পায় সুভাষ দত্ত নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সুতরাং’। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পায়। এ ছবি দিয়েই অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা কবরীর। সুচন্দা, উজ্জ্বল, শর্মিলী আহমেদ, ইলিয়াস কাঞ্চন, কবরী, আহমেদ শরীফের মতো অভিনয়শিল্পীরা এসেছিলেন তাঁর হাত ধরে।

সুভাষ দত্তের সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—‘ সুতরাং’, ‘কাগজের নৌকা’, ‘আয়না ও অবশিষ্ট’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘আবির্ভাব’, ‘বলাকা মন’, ‘সবুজ সাথী’, ‘বসুন্ধরা’, ‘সকাল সন্ধ্যা’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘নাজমা’, ‘স্বামী-স্ত্রী’, ‘আবদার’, ‘আগমন’, ‘শর্ত’, ‘সহধর্মিণী’, ‘সোহাগ মিলন’, ‘পালাবদল’, ‘আলিঙ্গন’, ‘বিনিময়’।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে তার সুদীর্ঘ কর্ম জীবনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৭৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ প্রযোজক-পরিচালকের পুরস্কারে ভূষিত করে। এবং ১৯৯৯ সালে একুশে পদক প্রদান করে। এ ছড়াও তিনি দেশি-বিদেশি অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছিলেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments