দীর্ঘ বিরতির পর বেইলি রোডের মহিলা সমিতির মঞ্চে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে প্রাচ্যনাটের দর্শক নন্দিত নাটক ‘কইন্যা’।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির প্রদর্শনী হবে। সিলেট-সুনামগঞ্জ হাওরাঞ্চলের লৌকিকতা নিয়ে নাটকটি রচনা করেছেন মুরাদ খান। নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, কালারুকা নামের জনপদের মানুষ মনে করে কইন্যা পীর তাদের দেখে রাখেন। কইন্যা পীর এ কালারুকায় এসেছিলেন সেই কবে। গত হয়েছেন তাও যুগ যুগ আগে। তবুও এ বিশ্বাস বর্তমান। তার সঙ্গী বহুরূপীকে তিনি খালি বাড়ির পুকুরে মাছ রূপে রেখে যান। খালি বাড়িতে এখন থাকেন নাইওর ও দিলবর নামের দুই ভাই। জনপদের সবাই জানেন, বিপত্নীক নাইওরের ওপর কইন্যা পীরের ভর আছে।
ইশকে মাতোয়ারা নাইওর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেন জলের বহুরূপীর সঙ্গে। যেন বহুরূপীর কাছে জানার দীক্ষা নেন। এ খালি বাড়িতে আশ্রিত মেছাব, নাইওরের ছোট ভাই দিলবরের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করে নিজ গ্রামের এক কইন্যার। যাকে সে নিজেই একসময় বিয়ের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। যার প্রতি এখনও তার আসক্তি রয়েছে।
দুই গ্রামের বিচ্ছিন্নতার প্রতীক একটি খাল। যার নাম চেঙ্গের খাল। চেঙ্গের খালের পশ্চিম পাড়ের মৌলভী সাহেবজাদার ধর্মচিন্তা। পূর্ব পাড়ের কালারুকার নাইওর আলীর ধর্ম চিন্তা থেকে আলাদা। তিনি চান ওই পাড়ে কালারুকায় তার প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। এমন গল্প নিয়ে এগিয়ে গেছে কইন্যা নাটকের কাহিনি।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্র রূপায়ন করছেন- আজাদ আবুল কালাম, কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন, রাহুল আনন্দ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সাখাওয়াত হোসেন রেজভী, জাহাঙ্গীর আলম, ঋতু সাত্তার, শাহানা রহমান সুমি, শাহেদ আলী, তপন মজুমদার, বিলকিস জবা, সাইফুল ইসলাম জার্নাল, রন্তিক বিপু, শাহরিয়ার সজীব, মিতুল রহমান, রিফাত আহমেদ নোবেল, মো. রফিক, তানজিকুন, সাদী প্রমুখ। মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনায়- মো. সাইফুল ইসলাম ও সংগীত পরিকল্পনায় রাহুল আনন্দ।