এখানেই বিনোদন

আমাকে নাকি গাঁজা খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেছে : স্বস্তিকা


জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুপম রায় ও গায়িকা-সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তীর। ২০১৫ সালে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন তারা। যেই সংসারের স্থায়ীত্ব হয়েছিল ৬ বছর। গেলো মাসে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন পিয়া। বিষয়টি নিয়ে কম হৈচৈ কম হয়নি। সেসময় উঠে আসে ১৫ বছর আগে পরমব্রত ও স্বস্তিকার প্রেমের সম্পর্কের কথাও। এ নিয়ে সম্প্রতি কলকাতার একটি গণমাধ্যমে খোলামেলা কথা বলেন এই অভিনেত্রী।

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বলেন, পরম-পিয়ার ট্রলিংয়ের মধ্যে আমাকেও…পরমের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ১৫ বছর হয়ে গেছে। ১৫ বছরে লোকে মরে গেলে পুনর্জন্ম হয়ে যায়। ওই সময়ে মানুষের বিয়ে হলে বাচ্চা হলে তাঁদের সন্তানদের স্কুল শেষ হয়ে যাবে। এখন একজন যে বয়সে বিয়ে করুক, যাঁকে বিয়ে করুক তাঁর ১৫ বছর আগের সম্পর্ক টেনে সেটা ক্লিক বিট করে ইউজ করাটা খুবই বোকার মতো কাজ।

ফেসবুকে এখন তারকাদের নানা রকম ট্রলিংয়ে শিকার হতে হয়। যেকোনো বিষয় পেলেই অনেকেই না বুঝেই সেটাকে ট্রল করেন। এতে বিব্রত হতে হয় তারকাদের। এসব প্রসঙ্গে সামনে এনে স্বস্তিকা বলেন, পাড়ার কিছু ট্রিপিকাল জেঠিমারা থাকত, যারা সবাইকে নিয়ে নিন্দা করত, সবার হাঁড়ির খবর নিয়ে চর্চা করত। এখন পুরো ফেসবুকটা পাড়ার জেঠিমাতে ভরে গেছে। তারা সারাক্ষণ সবকিছু নিয়ে মন্তব্য করে।

স্বস্তিকাকে বেশির ভাগ সময়ই ফেসবুকে টার্গেট করা হয়। এটা নিয়ে এই অভিনেত্রী আগেও অভিযোগ করেছেন। কিন্তু আফসোস সেই তুলনায় তাঁর কাজ নিয়ে কথা কিছুটা কম হয়। যদিও তার ক্যারিয়ারে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।

এই অভিনেত্রী বলেন, আমার মনে হয় আমাকে টার্গেট করা হচ্ছে। অন্য কারও মনে হচ্ছে তাকেও করা হচ্ছে। এটা সবাইকে করা হয়। মহিলাদের বেশি করা হয়। পিয়া তো অনুপমের সেকেন্ড ওয়াইফ, কই অনুপমকে তো ট্রল করা হলো না। আমি সেই অর্থে বলছি, এটা যদি ব্যালান্স করা হয়, তাহলে দেখা যাবে ব্যবধান অনেক।

এই স্বস্তিকা আরও বলেন, আমার খুবই অসহ্য লাগে, একটা মেয়ে সবই সময়ই কার বউ, কার সন্তান এটা কি তার পরিচয় হতে পারে নাকি। তার নিজের কাজের জায়গায় সে কি করেছে, তুমি ট্রল করলে করো, একটু হোম ওয়ার্ক করে নাও। তাঁর কাজ নিয়ে লেখ। উনি এই এই কাজ করেছেন, একটা খুব খারাপ কাজ করেছেন, পরমকে বিয়ে করলেন। এভাবে কাজের কথা লিখে বিয়ে কথা বলুক। সেটা না বলে এক্স বউয়ের, প্রেজেন্ট বউয়ের এগুলো কি?

তিনি বলেন, একটা সময় এমনও শুনেছি আমাকে নাকি গাঁজা খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেছে। আমি যদি গাঁজা খেয়েও থাকি, রাস্তায় পরে থাকার মতো সিচুয়েশন কোনো দিন হয়নি। হলে তো মিডিয়া সবার আগে স্ল্যাশ করত। এত বড় খবর তো কেউ ছেড়ে দিত না। চারটি রিলেশন ভেঙে গিয়েছে বলে, মেয়েদের যা বলে আরকি, সেগুলো শুনতে হয়েছে।

শুধু তা–ই নয়, অনেকে কাজ নিয়েও অনেকে বলেছেন, একই ধরনের সিনেমায় অভিনয় করেছেন বলেই নাকি তিনি বাস্তবেও প্রতিবাদী সত্তা। এই জন্য অনেকেই এই অভিনেত্রীকে এটাও বলেন, তাকে সব সময়ই প্রতিবাদ করতে হবে। স্ট্রং থাকতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সব সময় নরম স্বভাবের।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

85,000FansLike
285,000SubscribersSubscribe

Latest Articles