Saturday, December 21, 2024
Homeবিনোদনকঙ্গনাকে গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তার বাবা

কঙ্গনাকে গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তার বাবা


বলিউডের জনপ্রিয় তারকা কঙ্গনা রানাউত। শোবিজ অঙ্গনে ঠোঁট কাটা হিসেবেও বেশ পরিচিত এই অভিনেত্রী। কথা বলতে যেন কাউকেই পরোয়া করেন না তিনি। তবে কঙ্গনাকে গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তার বাবা। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কঙ্গনা।

মেধাবী ছাত্রী ছিলেন কঙ্গনা। ছোটবেলা থেকেই মা-বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে চিকিৎসক হোক। কিন্তু চিকিৎসক নয়, পর্দার তারকাই হতে চেয়েছিলেন কঙ্গনা। আর হয়েছেনও তাই। বর্তমানে বলিউডে শক্ত অবস্থান রয়েছে কঙ্গনার। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা ও প্রযোজনারও দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।

বলিউডের সুপরিচিত লেখক, গীতিকার মনোজ মুনতাসিরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানান, কৈশোরেই তিনি বাড়িতে জানিয়েছিলেন, চিকিৎসক নয়, একটু আলাদাভাবে গড়তে চান ক্যারিয়ার। ক্যারিয়ার গড়তে চান মডেলিং পেশায়। আর মেয়ের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি কঙ্গনার বাবা।

মাধ্যমিক পাস করে মেডিকেলের কোচিং করতে চণ্ডীগড়ে যান কঙ্গনা। কিন্তু সেখানে কোচিং না করে নাম লেখান সুন্দরী প্রতিযোগিতায়। সেবার বিজয়ীর মুকুট ওঠে কঙ্গনার মাথায়।

আর ঠিক তখনই কঙ্গনা ঠিক করেন, ডাক্তারি পড়বেন না তিনি। মডেলিং করবেন। তারপর বিজয়ের মুকুট ব্যাগে পুরে বাড়ি ফেরেন। বলা যায়, শোবিজের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন তিনি।

এদিকে মেয়ের এই সিদ্ধান্ত কঙ্গনার বাবার কাছে ছিল বড় ধাক্কা। এমনকি আশপাশের মানুষ ও সমাজের কাছ থেকে কী প্রতিক্রিয়া আসতে পারে, সেটা নিয়েও ব্যাপক ভয়ে ছিলেন অভিনেত্রীর বাবা।

শুধু তাই নয়, হিমাচলের রাজপুত পরিবারের কর্তা কঙ্গনার বাবাও রেগে গিয়ে এটাও বলেছিলেন, আমার বন্দুকটা নিয়ে আয়, ওকে গুলি করে মেরেই ফেলব। পাশাপাশি সিনেমার জগতে আসার সিদ্ধান্তে কঙ্গনার বাবা তাকে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, এরপর থেকে তিনি আর নেবেন না মেয়ের কোনো দায়িত্ব। অভিভাবক হিসেবে কোনো কাজই করবেন না। যদিও অভিনেত্রীর বিশ্বাস, তার বাবার নেওয়া সেই পদক্ষেপের কারণেই তিনি আজকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছেন। আত্মবিশ্বাস এসেছে তার মধ্যে।

কঙ্গনা জানান, তার পরিবারের সদস্যরা সুশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও ঐতিহ্যগত বিশ্বাস পোষণ করে। এই বিশ্বাস অনুসারে, নারীর নির্দিষ্ট সীমানা বা গণ্ডি অতিক্রম করা উচিত নয় এবং সেই গণ্ডি অতিক্রম করা গুরুতর পরিণতির সম্মুখীন হতে পারে, যা বন্দুক প্রসঙ্গটা প্রতীকী।

তবে প্রথম দিকে মেয়ের সাফল্য বিশ্বাস না হলেও জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর কঙ্গনাকে নিয়ে গর্ব বোধ করেছিলেন তার বাবা। বর্তমানে মেয়ের সাফল্যে গর্বিত তিনি।

সূত্র : আনন্দবাজার

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments