মিডিয়া পাড়া: স্পেশাল চাইল্ড! মানে সে আট-দশটা শিশুর মতো স্বাভাবিক নয়। তবে কি সে অস্বাভাবিক? মোটেও নয়! বিধাতা তাকে স্বাভাবিক বানাননি, অস্বাভাবিক বানিয়েছেন, এইটা তো তার দোষ নয়। এমনই সারমর্ম নিয়ে বিটিভিতে ২০ জানুয়ারি ২০২৪ রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘মৌনতার মন ভাঙে না’। রাজীব মণি দাসের রচনা ও চিত্রনাট্যে টেলিফিল্মটি নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী সাইফ আহমেদ এবং নির্বাহী প্রযোজক আফরোজা সুলতানা।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- গোলাম কিবরিয়া তানভীর, নিশাত তাসনিম তমা, সুজাত শিমুল, নিথর মাহবুব, শায়লা আক্তার, আসমা শিউলি, ফরহাদ হায়দার প্রমুখ ।
গল্প সম্পর্কে রচয়িতা রাজীব মণি দাস জানান, মৌনতা দেখতে অপরূপ রূপবতী একটি মেয়ে। সে বাকপ্রতিবন্ধী, তবে কথা বলতে না পারলেও সে সবার কথা শুনতে ও বুঝতে পারে। আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধীরা সবচেয়ে অবহেলিত। মৌনতা নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সুশিক্ষিত হয়। সে একটি বাকপ্রতিবন্ধী স্কুলে শিক্ষকতা করে।
কায়েস মৌনতার আসা যাওয়ার মাঝে মৌনতাকে দেখে ভালোবেসে ফেলে। যেদিন মৌনতার সাথে সাক্ষাৎ করে, মৌনতা কথা বলতে পারে না দেখে কায়েস মনে করে মৌনতা তার সাথে দুষ্টুমি করছে। কিছুক্ষণ পর তার ভুল ভেঙে যায়।
কায়েসের পরিবারও মৌনতার কথা শুনে হতভম্ব হয়। প্রতিবন্ধী একটি মেয়েকে কিছুতেই তাদের পরিবারের বউ করে আনতে পারে না। কিন্তু কায়েস নাছোড়বান্দা, সে যেকোনো মূল্যে তার ভালোবাসার মানুষটিকে মূল্য দিতে চায়।
এদিকে মৌনতা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিদেশী এক সংস্থা থেকে একটি এ্যাওয়ার্ড পায়। যা দেশের পত্রপত্রিকায় তাকে নিয়ে সংবাদ ছাপায়। বাবা-মা, স্কুলের সবাই মৌনতাকে নিয়ে গর্ববোধ করে। প্রতিবন্ধী হয়েও যে তাদের মেয়ে এত বড় কিছু করতে পারে সেটা তাদের কল্পনার অতীত ছিল।
কায়েস সমাজের সব বাঁধা ভেঙ্গে দিয়ে মৌনতাকে নিজের করে পেতে চায়। মৌনতাও তার ভালোবাসার বিশ্বাস রেখে কায়েসকে বিয়ে করতে চায়। প্রতিবন্ধীরাও যে সুশিক্ষা পেলে সুন্দর সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তার জলন্ত উদাহরণ মৌনতা।