বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উৎসাহ ও উন্মাদনা।
নির্বাচন করবেন না ইলিয়াস কাঞ্চন। সুতরাং হচ্ছে না কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ। ডিপজলের সঙ্গে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে নতুন প্যানেলের ইঙ্গিত দিচ্ছেন মিশা সওদাগরও। এরই মধ্যে তার সঙ্গে নির্বাচন করতে অনাপত্তির কথাও জানিয়েছেন ডিপজল।
ডিপজল বলেন, ‘মিশা যদি সভাপতি প্রার্থী হতে চান, আমার কোনো আপত্তি নেই। আবার আমিও যদি সভাপতি হই, এতে তার কোনো আপত্তি নেই। এখন দেখা যাক, কে কোন প্রার্থী হই।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল এফডিসিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডের সদস্য সামছুল আলম।
সম্প্রতি শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই চূড়ান্ত হয়েছে ২০২৪-২৫ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের দিনক্ষণ।
নির্বাচন ঘিরে অনেক তারকা এরই মধ্যে প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। তবে কতটি প্যানেল এবং কে কাকে নিয়ে প্যানেল সাজিয়েছেন, এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। তবে বিগত ১৭তম দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে একই প্যানেলে যাদের দেখা গেছে, তাদের সেই প্যানেল যে আর থাকছে না- এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সেই সময় ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের সঙ্গে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান পরিষদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। এরই মধ্যে জানা গেছে, এবার হচ্ছে না কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ। সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণ থাকলেও বদল হচ্ছে সভাপতি প্রার্থী। ওদিকে মিশা সওদাগরও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনিও জায়েদ খানের সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।
প্যানেলে ইলিয়াস কাঞ্চন না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিপুণও। তিনি বলেন, ‘আমরা কাঞ্চন ভাইকে ছাড়তে চাই না; কিন্তু কাঞ্চন ভাই তার সংগঠনসহ আরও কিছু কারণে এবার ইলেকশন করতে চান না। তাই এবার হয়তো কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ হচ্ছে না। তবে আমরা কাঞ্চন ভাইয়ের মতোই কাউকে নিয়ে প্যানেল সাজাব।’
এদিকে নিপুণের প্যানেলে ফেরদৌস আসছেন বলেও কথা উঠেছে। তবে সম্প্রতি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এই নায়ক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলেই জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আমি থাকছি না। কারণ শিল্পীরা নির্বাচন করতে গিয়ে নানা দলে ভাগাভাগি হয়ে যায়।’