বহুল-আলোচিত মুশতাক-তিশা দম্পতির পর কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা থেকে বিতাড়িত করেছেন মেলায় আসা শতাধিক দর্শনার্থী। সেই অভিযোগ নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছেন হিরো আলম।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশি সহায়তায় মেলা থেকে বের হয়ে যান হিরো আলম।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে হিরো আলম বলেন, কেউ একজন মানুষকে কোনো জায়গা থেকে বের করে দেয়ার অধিকার রাখে না। আমার সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে, বইমেলায় আমাকে দুয়োধ্বনি দিয়ে অপমান করা হয়েছে। সেজন্য আমি ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।
বিষয়টির সুরাহার জন্য তিনি ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদের কাছে গিয়েছেন। লিখিতভাবে অবহিত করবেন হিরো আলম।
জানা যায়, নিজের লেখা ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, আমরা সমাজকে বদলে দিব’ বইয়ের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন হিরো আলম। হঠাৎ একদল দর্শনার্থী তাকে উদ্দেশ্যে করে ভুয়া ভুয়া, ছি ছি দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে টিএসসি গেট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে হিরো আলমকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা সময় নানা কর্মকাণ্ড ও বারবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত মুশতাক-তিশা, ডা. সাবরিনাকে একইভাবে বের করে দেন সাধারণ দর্শনার্থী ও পাঠকরা।
হিরো আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে কারো কোনো সমস্যা নাই। আমি একটা স্টলে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ কিছু ছেলে ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার শুরু করে।’
তারা কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা বইমেলার স্টলগুলোরই পোলাপান। এরা চায় না বইমেলায় কোনো সেলিব্রিটি যাক। এ রকম কাজ করে তারা বইমেলা নিয়ে একটা বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায়। এদের বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, “আমি সবার কাছে জানতে চাই ‘ভুয়া’ শব্দের অর্থ কী? ভুয়া বলার মতো আমি কী করেছি? ভুয়া ভুয়া স্লোগান যারা দেয় তারা কারা? আর এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেখেও পুলিশ কেন নীরব থাকে?