‘যদি একদিন’ মুক্তির প্রায় পাঁচ বছর পর নতুন সিনেমা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। ভাবনায় ছিল একটি চরিত্রের নাম ধরে সিনেমার নাম হবে, সেই নামে সিনেমাটি তৈরি হবে।
অনেক দিন ধরেই নাম খোঁজা হচ্ছিল কিন্তু জুতসই নাম পাচ্ছিলেন না। একদিন বিনোদন জগতের বেশ কিছু তারকার সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন এই পরিচালক। আড্ডায় সিনেমাটির নাম নিয়ে কথা ওঠে।
একেকজন একেকটি নাম প্রস্তাব দেন। ওই আড্ডায় ছিলেন ছোট পর্দার তারকা মেহজাবিন চৌধুরী। তিনি ‘ওমর’ নামটি রাখার জন্য মত দেন। নামটি পছন্দ হয়ে যায় পরিচালকের। সিনেমার নাম রাখলেন ‘ওমর’। চিত্রনাট্যে ‘ওমর’ নামটি যুক্ত হলো। এরপর ওই নামে সিনেমাটি তৈরির প্রতিক্রিয়া শুরু হলো। গত বছরের শেষের দিকে এসে তৈরি হলো সিনেমা ‘ওমর’।
পরিচালক রাজ বলেন, ‘একদিন এক আড্ডায় আমার নতুন চলচ্চিত্রের গল্প বলছিলাম। মেহজাবিন সামনেই ছিল। কিন্তু ছবির নাম কী দেব ঠিক করতে পারছিলাম না। তখন মেহজাবিন ‘ওমর’ নামটি রাখার প্রস্তাব দিল। আমাদের সবারই এই নামটি পছন্দ হয়েছে। সেজন্য তাকে ধন্যবাদ।’
সম্প্রতি ‘সাবা’ নামের একটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় নাম লেখানোর কথা জানিয়েছেন মেহজাবিন। তবে কি ‘ওমর’ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন? পরিচালক রাজের উত্তর, ‘না, মেহজাবিন এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। শুধু তার দেওয়া নামটি আমরা নির্বাচন করেছি। এটুকুই তার সম্পৃক্ততা।’
এ প্রসঙ্গে মেহজাবিন বলেন, ‘রাজ ভাই আমার দেওয়া নামে সিনেমাটির নাম রেখেছেন—এত এত ভালো লাগছে! একটি সিনেমা তৈরির স্মৃতির সঙ্গে আমার নামটিও থাকবে, বিষয়টি ভাবতে ভালোই লাগছে।’
কীভাবে মাথায় এল নামটি—জানতে চাইলে মেহজাবিন বলেন, ‘অনেক দিন আগের ঘটনা। এক আড্ডায় রাজ ভাই এই ছবির অল্প অল্প গল্প শোনাচ্ছিলেন। কিন্তু নাম পাচ্ছিলেন না। গল্পের এই চরিত্রটি শুনে নামটি মাথায় আসে। তখন এই নামটি রাজ ভাইকে বলেছিলাম।’
ছোট পর্দার এই নায়িকার কথা, এ ধরনের নাম মানুষের খুব কমই আছে। সিনেমায় নামটির মধ্যে একটা নতুনত্ব আছে। নামটির মধ্যে একটা আলাদা ব্যাপার আছে। দর্শকও নামটির মধ্যে একটা ভিন্নতা খুঁজে পাবেন, নতুনত্ব খুঁজে পাবেন।’
‘ওমর’ হলো মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ষষ্ঠ চলচ্চিত্র। তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘প্রজাপতি’ মুক্তি পায় ২০১১ সালে। এরপর তিনি একে একে পরিচালনা করেছেন ‘ছায়া-ছবি’ (২০১২), ‘তারকাঁটা’ (২০১৪), ‘সম্রাট’ (২০১৬) এবং ‘যদি একদিন’ (২০১৯)।