এখানেই বিনোদন

যে কারণে বিগ বসের সেট থেকে কারাগারে প্রতিযোগী


ভারতীয় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগবস’। আবার বিতর্কিত অনুষ্ঠানও বলা চলে। কারণ, প্রতি সিজনেই এমন কিছু কাণ্ড ঘটে তা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হবেই। হিন্দি, কন্নড় কিংবা তামিল, যেটাই হোক না কেন। এবার বিগবসের সেট থেকে রীতিমতো কারাগারে যেতে হলো প্রতিযোগী ভার্থুর সন্তোষকে।

রোববার (২২ অক্টোবর)-এর ঘটনা যেন সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেল এবার। এদিন বিগ বসের ঘর থেকে গ্রেপ্তার হন এই প্রতিযোগী।

তবে কী এমন ঘটেছিল সেদিন যে, বিগবসের ঘর থেকে কারাগারেই যেতে হলো তাকে? এমন প্রশ্ন রীতিমতো দর্শকদের মনে রহস্যের দানা বেঁধেছে। বলা যায়, যারা অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখেন তারা সবাই হতবাক।

জানা গেছে, রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে বাঘের নখ দিয়ে তৈরি লকেট গলায় ঝুলিয়ে ছিলেন ‘বিগ বস কন্নড় দশ’র প্রতিযোগী ভার্থুর সন্তোষ। সেই খবর বন দপ্তরের কানে পৌঁছে যাওয়া মাত্রই উপযুক্ত প্রমাণ হাতে আসতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রীতিমতো বিগ বসের সেটে হাজির হয়ে তদন্ত চালায় বন দপ্তর।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) অভিযুক্ত ভার্থুর সন্তোষকে বেঙ্গালুরু আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।

স্বপ্রণোদিতভাবেই ভার্থুর সন্তোষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বন দপ্তর। পাশাপাশি তার গলার সেই বিতর্কিত লকেটটি হেফাজতে নিয়েছে বন দপ্তর। লকেটটি বাঘের নখ দিয়েই তৈরি নাকি অন্য প্রাণীর নখ দিয়ে, তা নিশ্চিত করতে ফরেনসিকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

তবে তার কাছে কোথা থেকে এই বাঘের নখ এলো? এই প্রশ্নের জবাবে ভার্থুর সন্তোষ জানান, লকেটটি তার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।

বাঘের নখ পরা বা নিজের কাছে রাখা বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) আইন অনুযায়ী, ১৯৭২ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শুধু নখই নয়, বাঘের শরীরের কোনো অংশই শরীরে ধারণ করা বা নিজের কাছে রাখাটা অপরাধ বলে বিবেচ্য।

এ প্রসঙ্গে ডেপুটি কনজারভেটর অব ফরেস্ট রবীন্দ্র কুমার বলেন, ভার্থুর সন্তোষকে বাঘের নখ পরা অবস্থায় দেখা যাওয়ার পরে জনসাধারণ অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পর, আমরা কোমাঘট্টার কাছে বিগবস স্টুডিওতে এটি পরিদর্শন করেছি এবং কর্তৃপক্ষকে লকেটটি হস্তান্তর করার অনুরোধও জানিয়েছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি করার পর তারা আমাদের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়।

আপাতত বিষয়টি নিয়ে ভার্থুর সন্তোষের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আর এই অভিযোগটি সেটি প্রমাণ হলেই তিন থেকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এই প্রতিযোগী।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

85,000FansLike
285,000SubscribersSubscribe

Latest Articles