বলিউড সুপারস্টার রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের মধ্যে থাকা সম্পর্কের সমীকরণ এক কথায় সবার কমবেশি জানা। দীর্ঘ চার বছরের প্রেমের পর চার হাত এক হয় তাদের।
সম্প্রতি এক বিতর্কের জেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় প্রতিদিন কটাক্ষ সামলাতে হচ্ছে রণবীরকে। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন রণবীর। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে আলিয়া জানান, অভিনয় ছাড়া অন্য সময়ে বাইরে বেরোনোর আগে তিনি লিপস্টিক পরা অনেক কমিয়ে দিয়েছেন। কারণ তার স্বামী রণবীর নাকি লিপস্টিক পরা একেবারেই পছন্দ করেন না।
আলিয়ার কথায়, ‘রণবীর আমার ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ভীষণ পছন্দ করে। আমি লিপস্টিক পরলেই ও তা মুছে দেওয়ার কথা বলে।’ আলিয়ার এই মন্তব্যের পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয় রণবীরকে নিয়ে। রণবীরের নামের পাশে জুড়ে গেছে ‘বিষাক্ত পুরুষত্ব’ কথাটা।
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই। তাই নেতিবাচকতার মুখোমুখি হতে হয় না আমাকে সরাসরি, যা একটা দুর্দান্ত জিনিস। কিন্তু আমি মনে করি নেতিবাচকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে আপনি যদি একজন শিল্পী হন। আমি যখন কাজ করছি, তখন আমার মনে হয় উভয়েরই অস্তিত্ব থাকা দরকার। কারণ এটি একটি ভারসাম্য তৈরি করে। আপনি জানেন যে কখনো কখনো একজন অভিনেতা হিসাবে আপনাকে নিয়ে এমন অনেক কিছু লেখা হয়। অনেক মতামত তৈরি করা হয়, যা সত্য নয়। আপনি সেগুলোকে এক চিমটে নুনের মতো নিতে পারেন।’
‘আমার ইমেজ এমন তৈরি করা হয়, যা আমি নই। হতে পারে আমার করা কোনো চরিত্র বা শুধু কোনো কথার ভিত্তিতে লোকের মনগড়া। কিন্তু এটা আমার নিজের নয়। বরং জনসাধারণের। হতে পারে তারা আমাকে পছন্দ করেন বা অপছন্দ। যতক্ষণ তারা আমার কাজকে পছন্দ করছেন, এ রকম খারাপ-ভালো থাকবেই। আমার ফোকাস শুধু অভিনয়ে।’
এর পর ‘বিষাক্ত পুরুষত্ব’ নিয়ে রণবীর বলেন, ‘আমার কিছু বিবৃতি নিয়ে যেভাবে আমাকে তুলে ধরা হয়েছে, তেমন কিছু প্রতিবেদন আমি পড়েছি। আমি সেই লোকদের পাশে আছি, যারা বিষাক্ত পুরুষত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা যদি এটার মুখপাত্র হিসেবে আমাকে ব্যবহার করেন তাতেও আমার আপত্তি নেই। কারণ তাদের লড়াইটা আমার চেয়ে বড়। হতে পারে আমি যা বলেছি, তা তাদের খারাপ লেগেছে।’