পরীমণির নানা গাজী শামসুল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে তাকে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বিকেল তিনটায় বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শামসুল হক ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার জানাজার নামাজে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়। জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পরও ঘণ্টাখানেক নামাজের উদ্দেশে জনতা আসতে থাকেন। এরপর মঠবাড়িয়ার পাশ্ববর্তী এলাকা ভাণ্ডারিয়ার সিংখালী গ্রামের পারিবারিক করবস্থানে তার সহধর্মিণীর কবরের পাশে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা সন্তানসহ আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন খান, ভগীরথপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর কবির খান, ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। জানাজা নামাজ পরিচালনা করেন নেয়ামতপুরা ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল হক। জানাজা নামাজে তার ছাত্র, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল চারটার দিকে স্থানীয় শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, জুমার নামাজ শেষে খাবার খেয়ে মুসুল্লিরা আসতে শুরু করে। এতে করে অনেকেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জানাজা নামাজে অংশ নিতে পারেনি। এখনও অনেকে এসে ফিরে যাচ্ছেন। পরীমণি পিরোজপুরে অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বেশকিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন পরীমণির নানা। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।