২০ জুন নাট্যকার ও নাট্যকার সংঘ’র সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব মণি দাসের জন্মদিন। বর্তমান সময়ের অন্যতম সাংস্কৃতিক প্রতিভা নাট্যকার রাজীব মণি দাস। যিনি একাধারে নাট্যকার, গীতিকার, কবি ও উপন্যাসিক। তার রচিত একাধিক ধারাবাহিক ও অসংখ্য একক নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হয়েছে। এছাড়াও নাট্যকার সংঘ’র চলমান কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নিয়োজিত রয়েছেন।
আর একজন সাহিত্যিক হিসেবেও উল্লেখযোগ্য অসংখ্যক গল্প, উপন্যাস ও কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে তার। সাম্প্রতিক সময়ে নাটক রচনার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চাতেও ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজীব মণি দাস। নিজ প্রতিভাগুণে, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বেশিরভাগ শাখায় পরিচিতি পেয়েছেন এই তরুণ প্রতিভা। মূলত তিনি শখের বসেই ছোটবেলা থেকে লেখালেখি শুরু করেন।
মঞ্চনাটকে পদচারণার মাধ্যমে তার পথচলা শুরু হলেও কবিতা লেখার মাধ্যমে হাতেখড়ি, এরপর উপন্যাস লেখাতে তিনি বেশি মনোনিবেশ করেন। কবিতা, নাটক, চলচ্চিত্র, গীতিকার, ছোটগল্প, উপন্যাস লেখালেখির পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তিনি পত্রিকায়ও লিখে থাকেন। তার নাট্যরূপে, অসংখ্য নাটক ও বিজ্ঞাপনী কনসেপ্ট নির্মিত হয়।
তার লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘তাহার জন্য আর কোনো চিন্তা নাই’, বিজ্ঞানভিত্তিক সৃষ্টিশীল শিশুতোষ উপন্যাস- ‘মি. ব্রেইন’, রোমান্টিক প্রেমের গল্প- ‘একপশলা বৃষ্টি’ এবং পথশিশুদের জীবনভিত্তিক আবেগঘন গল্প- ‘বাবা’।
এছাড়া তার লেখা গান সুর, সঙ্গীত ও কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পীরা। বর্তমানে তিনি উল্লেখিত মাধ্যম ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শুধু নাটক কিংবা সংস্কৃতি অঙ্গনই নয়, যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান, মানুষের বিপদ-আপদে এগিয়ে যাওয়া, অসুস্থ রোগীর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানো, নিয়মিত রক্তদান ইত্যাদি কর্মকান্ডের সঙ্গেও তিনি যুক্ত।