সময়ের ব্যস্ততম নির্মাতা পলাশ মণি দাস নির্মাণ করলেন ‘আন্ডার মেট্রিক বেয়াদব’। টেলিফ্লিমটি রচনা করেছেন রাজীব মণি দাস। টেলিফিল্মের বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে- আখম হাসান, রেজমিন সেতু, শফিক খান দিলু, সাইকা আহমেদ, নিথর মাহবুব, ফরিদ হোসাইন প্রমুখ। পরিচালক সূত্রে জানা যায়, টেলিফিল্মটি শিগগিরই যে কোনো একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত হবে। তারপর বিয়ন্ড নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে টেলিফিল্মটি মুক্তি দেওয়া হবে।
কাহিনিতে দেখা যায় এস. এস. সি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি লতিফ, তাই তার নামের পূর্বে আন্ডার মেট্রিক পাশ শব্দটি সংযুক্ত হয়েছে। সবাই তাকে আন্ডার মেট্টিক লতিফ বলেই ডাকে। প্রথমে বিরক্ত লাগলেও এক সময় সে এই আন্ডার মেট্টিক উপাধিকে গর্বের সহিত গ্রহণ করে। তবে লতিফের কথা-বার্তা, আচার-আচরণ, চলাফেরা দেখলে যে কেউ মনে করবে সে একজন জ্ঞানী ব্যক্তি কিংবা মাস্টার্স পাশ ছেলে।
শ্রেয়ার বাবার সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে লতিফ। শ্রেয়াও লতিফের মায়ের সঙ্গে সুন্দর আচরণ দিয়ে কনভেন্স করার চেষ্টায় থাকে। কিন্তু বাধ সাধে যখন শ্রেয়ার বাবা সামাদ সাহেবের সাথে লতিফের মা সাইদা বেগমের যখন সাপ-নেওলে সম্পর্ক তৈরি হয়। একেকজন যেন তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে। উভয়ের মধ্যে তিক্ততার আগুনে চরমে উঠে এবং একজন অন্যজনকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
একদিকে সাইদা তার ছেলের জন্য পাত্রি খুঁজতে থাকে, অন্যদিকে সামাদ সাহেবও তার মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে থাকে। আর চ্যালেঞ্জ করে যে, কোনো ভাবেই লতিফ এবং শ্রেয়ার মধ্যে সম্পর্ক মেনে নেয়া হবে না। এমতাবস্থায় শ্রেয়া এবং লতিফ পড়ে যায় বিপাকে। কি করতে গিয়ে কি হয়ে গেল, কিছুই তারা বুঝতে পারে না।
এলাকার এক চান্সে বিএ পাশ করা তিন তিনটে সার্টিফিকেটের মালিক পিন্টু, যে কিনা ইংরেজিতে খুবই দুর্বল, সাধারণ জ্ঞানও জানে না, তার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে শ্রেয়ার বাবা সামাদ। যেন আলাপের সঙ্গে সঙ্গেই শ্রেয়াকে বিয়ে দিয়ে দিবে এবং বিয়ে ঠিকও হয়ে যায়। বিয়ে হয়েও গেল, পরের দিন সকালে শ্রেয়ার বাবা এবং লতিফের মায়ের চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙ্গে লতিফ আর শ্রেয়ার।
পলাশ মণি দাস বলেন- নাটকটি কমেডি ঘরনার মনে হলেও গল্পে ভিন্নতা আছে। আমি চেষ্টা করেছি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে নির্মাণ করার। আশা করি নাটকটি দর্শকদের ভালো লাগবে।