জনপ্রিয় মডেল, উপস্থাপক এবং অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। দেশের পাশাপাশি কলকাতার সিনেমায় নিয়মিত দেখা যায় তাকে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় শেখ হাসিনার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ সিনেমায় কাজে অভিজ্ঞতা, বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
- প্রেক্ষাগৃহে চলছে আপনার অভিনীত ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
** আমার কাছে দর্শক প্রতিক্রিয়া কখনোই শুধু চরিত্র ঘিরে প্রাধান্য পায় এমনটা নয়। সিনেমায় শুধু আমার চরিত্র ভালোলাগার চেয়ে, পুরো সিনেমা দর্শকদের ভালো লাগা জরুরি। আর সেটা লাগছে। পুরো সিনেমাই সবার ভালো লাগছে। সবাই ইমোশনালি কানেক্ট করতে পারছে। এটা সব চেয়ে বড় পাওয়া।
আর যদি বিশেষ করে আমার করা শেখ হাসিনার চরিত্রের কথা বলেন, তবে সেটার জন্যও বেশ প্রশংসা পাচ্ছি। সিনেমাসংশ্লিষ্ট যারা আছেন, দর্শক, আমার পরিবার, এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও খুব খুশি হয়েছেন আমাকে পর্দায় দেখে।
- বায়োপিকে কাজের মানসিক চাপ কতটা অনুভব করেছেন?
** বাংলাদেশের প্রথম বায়োপিক এটা। তাও শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর। সেই সিনেমায় আমি আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছি। তাই চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। নিজেকে প্রস্তুত করা, ওই চরিত্রে সাজানো ছিল অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
কারণ আমাকে বলা হয়েছিল পর্দায় শেখ হাসিনার মধ্যে ওই বয়সে সরলতা, কোমলতা এবং পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ফুটিয়ে তুলতে হবে। এ চরিত্র করতে গিয়ে আমি নিজের মধ্যের সরলতা এবং পরিবারের প্রতি ভালোবাসাকে নতুন করে অনুভব করেছি। নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি।
- শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
** এ অভিজ্ঞতা বলে বোঝানো যাবে না। বাংলাদেশ থেকে তিনশ মেয়ে অডিশন দিয়েছিল শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। তার মধ্য থেকে আমাকে পছন্দ করেছেন পরিচালক। এটা আমার জন্য অনেক বড় বিষয়।
কারণ তারা এমন একজনকেই নির্বাচন করবে যার মধ্যে শেখ হাসিনার প্রতিচ্ছবি সবচেয়ে বেশি। এরপর যদি শুটিংয়ের কথা বলি, আমার মনে হয় পুরো টিমের মধ্যে আমাকেই সবচেয়ে কম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাকে সেটে অনেক আদর আর স্নেহের করেছে সবাই। এমনকি সেটে আমাকে সবাই শেখ হাসিনা বলেই ডাকত।
- ‘মুজিব’ সিনেমার পর নতুন কাজের প্রস্তাব পেয়েছেন?
** হ্যাঁ, বেশ কিছু নতুন কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। তবে সেটা শুধু মুজিব’র পর নয়। ‘পাতালঘর’ সিনেমার পরও অনেক কাজে প্রস্তাব এসেছে আমার কাছে। আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি যে, আমার কাছে এত এত কাজের প্রস্তাব আসে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে করা হয় খুবই কম। খুব বেছে বেছে কিছু কাজ আমি করি। কারণ যেনতেন কাজ করে তো লাভ নেই, তাই না। তবে আমি কাজ করতে চাই। অনেক বেশি কাজ করতে চাই। আমার ক্ষুধা মেটেনি। তাই তো ছুটিতে থাকলেও কাজ নিয়ে ভাবতে থাকি।