বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন বর্তমান সময়ের পরিচিত উপস্থাপক রাফসান সাবাব। চিকিৎসক সানিয়া এশাকে ভালোবেসে বিয়ে করলেও একই ছাদের নিচে দীর্ঘদিন বাস করতে পারলেন না তারা। বিয়ের তিন বছরের মাথায় সংসার ভাঙনের খবর দিলেন এই জুটি।
বিচ্ছেদের পর থেকেই রাফসানের অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের খবর নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকে চুপ থাকলেও স্ত্রী এশার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর মুখ খুলেছেন এই সঞ্চালক। জানিয়েছেন, কোনোভাবেই এশার সঙ্গে সংসার চালিয়ে যেতে চান না।
রাফসান বলেন, দেড় বছর আগে থেকেই আমি বিচ্ছেদের বিষয়ে কথা বলে আসছি। আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতো নয়, বরং আলাদা থাকছি। ফলে ঘর ভাঙার জন্য আমাকে দায়ী বলতে পারেন। হঠাৎ কোনও এক কমেন্টের সূত্র ধরে, কোনও পাবলিক প্লেসে কারও সঙ্গে আমাকে দেখা গেছে বলে, তার কারণেই আমার ঘর ভেঙেছে, এটা না বলাই শ্রেয়। যদি কারও কারণে ঘর ভেঙে থাকে, সেটা আমি। কারণ যেই ঘরটা আসলে ঘর থাকে না, যদি সারা দিন কাজ করে সেখানে ফেরার ইচ্ছে না করে, মনে হয় এই জায়গাটি আমার জন্য শান্তির নয়। সেটাকে আসলে ঘর বলা যায় না।
বিচ্ছেদের কারণে অনেকে রাফসানকে ‘চিটার’, ‘প্রতারক’ ইত্যাদি বলেও অভিযুক্ত করছেন। এই উপস্থাপকের দাবি, এসব অভিযোগও তিনি মেনে নিতে রাজি, তবুও এশার সঙ্গে সংসারটি কোনোভাবে চালিয়ে যেতে চান না।
ঠিক কী কারণে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা পরিষ্কার করেননি রাফসান। তবে জানিয়েছেন, ভালোবাসার বিয়ে হলেও সংসার জীবনে কাঙ্ক্ষিত সুখ-শান্তির দেখা পাননি তিনি। রাফসান বলেন, আমাদের বিয়েটা ছিল ভালোবাসার। অনেক কষ্ট করে পরিবারকে মানিয়ে, রাজি করিয়ে তারপর বিয়েটা করতে হয়েছে। এটা সহজ ছিল না আমার জন্য। কিন্তু আমাদের বিয়ের যখন দেড় বছর পার হলো তখনই মনে হলো যে, এই বিয়েটা আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর না। আমি তখনই এই সম্পর্কটা থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি। আমি কোনোভাবেই এই সংসার করতে চাই না। বহুবার তার সঙ্গে এটা নিয়ে বসেছি, আমাদের দুই পরিবার নিয়ে বসে আলোচনা করেছি। কিন্তু কোনোভাবেই সেটা হয়ে উঠছিল না। আমি তখনই আলাদা হয়ে যেতে চেয়েছি। প্রয়োজনে বিচ্ছেদের যত প্রক্রিয়া আছে, সেটার পর তার আর্থিক সাপোর্ট দিতেও রাজি ছিলাম। কিন্তু সম্পর্কটা থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি আমি। এর পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে সেগুলো বলতে চাই না।
এর আগে রাফসানের প্রাক্তন স্ত্রী সানিয়া এশা বলেছেন, আমি এই ডিভোর্স চাইনি। এটা আমাদের দুজনের সিদ্ধান্তে হয়নি। আমি শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করে গেছি বিয়েটা টিকিয়ে রাখার জন্য। বিয়ে এবং স্বামী ছিল আমার প্রথম অগ্রাধিকার। আমি তার প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। কিছু বড় সমস্যা ছিল, যেগুলোর জন্য আমি নিজেই হয়তো সব শেষ করে দিতে পারতাম। কিন্তু একটা মেয়ে কখনোই চায় না তার সংসার ভেঙে যাক। অনেক বিষয় আছে যেগুলো আমি এখন প্রকাশ করতে চাই না। এভাবে আমি নিজেই হয়তো সংসার আর চালিয়ে যেতে পারতাম না। কিন্তু আমার এতটুকু বিশ্বাস ছিল, অন্তত সঠিক আইনানুগ উপায়ে কিংবা যেটা সত্যি সেটা সবার সামনে মেনে নিয়ে সত্যিটা ঘোষণা দেওয়া হবে।