দেশের নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার জন্মদিন শনিবার (২ ডিসেম্বর)। ১৯৫৯ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীতে এসেছেন তিনি। জীবনের ৬৩ বসন্ত পেরিয়ে ৬৪ বছরে পা রাখলেন এই অভিনেত্রী।
কিন্তু বয়স তাকে এতটুকুও ছুঁতে পারেনি। অভিনেত্রীর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন তারুণ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে তার। এখনও তিনি সতেজ ও প্রাণবন্ত। তারুণ্যের মতোই এখনও কাজ করে চলেছেন ক্লান্তিহীনভাবে। তার কাছে বয়স যেন শুধুই একটি সংখ্যা মাত্র।
জন্মদিনে কখনোই বিশেষ কোনো আয়োজন করেন না সুবর্ণা মুস্তাফা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঘরোয়া আয়োজনেই জন্মদিনের শুরুতেই কেক কেটে উদাযাপন করেন তিনি। এসময় অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ।
এ ছাড়া সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি, তাহমিনা সুলতানা মৌ, তানভীন সুইটি, দীপা খন্দকার, বিজরী বরকতুল্লাহ ও ফারজানা চুমকি।
১৯৫৯ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন সুবর্ণা। তিনি একাধারে অভিনেত্রী, প্রযোজক ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য। অভিনেত্রীর আরেকটি পরিচয় হচ্ছে তিনি প্রখ্যাত অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার মেয়ে।
ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সুবর্ণা। অভিনেতার সঙ্গে দীর্ঘ ২২ বছর সংসার করার পর ২০০৮ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় এই তারকা দম্পতির। পরবর্তীতে নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেন তিনি।
মূলত ছোটবেলা থেকেই বাবার অনুপ্রেরণায় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তার। মঞ্চ দিয়ে অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। পরে আশির দশকে টেলিভিশনে যাত্রা শুরু করেন তিনি।
১৯৯০ সালে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে বরকত উল্লাহর পরিচালনায় ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান সুবর্ণা। এছাড়া ‘আজ রবিবার’ নাটকে মুনা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন গুণী এই অভিনেত্রী।
১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সুবর্ণা। অভিনেত্রীর প্রথম বাণিজ্যিক সিনেমা কাজী জহির পরিচালিত ‘নতুন বউ’। এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
সুবর্ণা মুস্তাফা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে ‘লাল সবুজের পালা’, ‘নয়নের আলো’, ‘সুরুজ মিঞ্চা’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘রাক্ষস’, ‘কমাণ্ডার’, ‘অপহরণ’, ‘স্ত্রী’, ‘দূরত্ব’ ইত্যাদি।