অবশেষে প্রেমিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ‘পুষ্পা’ ছবিতে অভিনয় করা অভিনেতা ও আল্লু অর্জুদনের বন্ধু জগদীশ প্রতাভ ভান্ডারি। গত ৭ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় জগদীশকে। মূলত এরপরেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ ও ‘ব্ল্যাকমেল’ করার দোষ স্বীকার করেছেন এই অভিনেতা।
ভারতীয় গণমাধ্যমে জগদীশ বলেন, আমার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পরেই আমি মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছি আমি। কারণ সে অন্য ছেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছিল। আর সেটা আমি কোনোভাবেই সহ্য করতে পারিনি। তাই আমার কাছে ফিরে আসার জন্য ছবিগুলো ব্যবহার করে তাকে ব্ল্যাকমেল করেছি।
জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে জুনিয়র এক নারী আর্টিস্টের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন জগদীশ। তবে তাদের সম্পর্কটি টেকেনি। আর প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই তাদের ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে মেয়েটিকে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেল করতেন জগদীশ।
এমনকি ছবিগুলো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিতেন এই অভিনেতা। আর এসব সহ্য করতে না পেরে গত ২৯ নভেম্বর আত্মহত্যা করেন ওই নারী শিল্পী।
পরে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে জগদীশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ওই শিল্পীর বাবা। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করলে বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়ায় জগদীশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রথমে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের দায়টি অস্বীকার করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘পুষ্পা’ সিনেমায় কেশব চরিত্রে অভিনয় করেন জগদীশ। সিনেমাটিতে আল্লু অর্জুনের বন্ধুর চরিত্রে দেখা যায় তাকে।
সূত্র : ইন্ডিয়া গ্লিটজ