‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গান নিয়ে এ আর রহমানের করা রিমেক সামাজিক মাধ্যম থেকে অপসারনের আদেন দিয়েছেনর হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রলসহ এ আদেশ দেন।
এর আগে, ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী ও ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির এ রিট দায়ের করেন। রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে বলিউড সিনেমা ‘পিপ্পা’তে কবি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের রিমেক ব্যবহার করেছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী এ আর রহমান। গানটি রিলিজের পর সমালোচনার জোয়ারে ভেসে যান এ আর রহমান।
সবশেষে গানটি নিয়ে মুখ খোলেন বিদ্রোহী কবির নাতি অনির্বাণ কাজী। এক রকম চটে গিয়ে তিনি বলেন, গানের ক্রেডিট থেকে তার পরিবারের নাম মুছে ফেলা হোক।
ভারতীয় গণমাধ্যম অন্য সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনির্বাণ বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারিনি যে রহমানের মতো একজন শিল্পী এতটা অসংবেদনশীল হতে পারেন এবং এভাবে গানটিকে হত্যা করতে পারেন। প্রতিবাদ হিসেবে, আমি চলচ্চিত্রের ক্রেডিট লাইনে বিশেষ ধন্যবাদে আমাদের পরিবারের নাম চাই না। ’
কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার থেকে অনুমতি নিয়েই গানটি রিমেক করা হয়েছিল বলে তথ্য দেন অনির্বাণ।
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে মা অনুমতি দিয়েছিলেন। সুর ও কথা না বদলে গানটা রিমেক করতে অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাদের (নির্মাতা) পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গানটা তাড়া নিজেদের মতো করে ব্যবহার করতে চায়। তখন মা তাদের বলেছিলেন, গানটা তৈরি হয়ে গেলে একবার শোনাতে। কিন্তু ওরা কিছুই শোনায়নি। এরপর মা-ও মারা যান। ’
গানটিকে বিকৃত করা হয়েছে অভিযোগ এনে অনির্বাণ বলেন, ‘রহমানকে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েই জানতে চাই, তাকে কে অধিকার দিল গানটি বিকৃত করার? স্বত্ব দেওয়ার সময় তো সুর বদলের কথা বলা হয়নি। কী রকম একটা করে দিয়েছে গানটাকে! একটা গ্রামীণ সংগীতের মতো, ভাটিয়ালির মতো করে দিয়েছে। অনেক সস্তা করে দিয়েছে’।