স্বাভাবিকভাবেই একজন জনপ্রতিনিধিকে অনেক কিছু বিবেচনা করেই জীবনযাপন করতে হয়। কারণ তার দিকে তাকিয়ে থাকে অসংখ্য মানুষ। বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান যেন কখনোই সেসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। তিনি জীবনযাপন করেন তার মতো করেই।
খোলামেলা পোশাকে রিল বানাতেই নাকি ব্যস্ত, তাই যাওয়ার সময় পাননি সন্দেশখালিতে। এমন ভুরিভুরি অভিযোগে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।এই সমস্ত অভিযোগে অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। এক্সে লম্বা পোস্ট করে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন,’এই ধরনের অভিযোগ প্রচণ্ড হৃদয়বিদারক। একজন মহিলা হিসাবে, একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি সবসময় দলের নির্দেশ অনুসরণ করেছি এবং জনগণের সেবা করেছি। সন্দেশখালির ঘটনার তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সাহায্য পাঠিয়েছেন এবং জনগণের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আমরা আইনের ঊর্ধ্বে নই, তাই এটা মেনে চলা এবং প্রশাসনের পাশে থাকা প্রয়োজন। আমি সত্যিই আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষের সেবা করেছি, আনন্দের সময়ে, সমস্যার সময়েও।’
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ’আমাদের অবশ্যই একে অপরকে লক্ষ্যবস্তু করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশৃঙ্খলা নয়, শান্তি সৃষ্টিতে সহায়তা করার জন্য একত্রিত হতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। কে কী বলে, কার সম্পর্কে কী বলে, সেটা বিবেচ্য নয়। যেমনটা আমি আগেই বলেছি। আমি আবারও বলব, ’রাজনীতি করা বন্ধ করুন।’
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন নুসরাত। যেখানে দেখা গেছে, নীল রঙের খোলামেলা পোশাকে একের পর এক পোজ দিয়ে ছবি তুলছেন অভিনেত্রী। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে অভিনেত্রীর শরীরের ট্যাটুও।
সেসব দেখেই নেটিজেনদের মন্তব্য ধেয়ে এসেছে নুসরাতের দিকে। একের পর এক আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন তারা। বিশেষ করে বসিরহাটের অসংখ্য মানুষ তাদের সাংসদের কড়া সমালোচনায় মেতে ওঠেছেন।
এই বিবৃতি দিলেও নিজে এখনও পর্যন্ত সশরীরে হাজির হননি। আর তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠছে সমালোচনার ঝড়। জনসাধারণের সেবা করার চেয়ে নিজের রূপ নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন নুসরাত, এমনটাই মনে করেন নেটিজেনরা।